How to do daily Durga Puja at home: নিত্য দুর্গাপূজা ঘরে করুন

daily durga puja

আমার বাড়িতে ছোট Durga Maa -এর প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ আছে। যেখানে নিত্য পূজা (Daily Durga Puja at home) করা হয়। মায়ের নিত্য পূজায় ঘট স্থাপন করে বা না করেও করা যায়। যদি প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ খুব ছোট হয়, যদি এক ফুটের কম হয় সেক্ষেত্রে ঘটের স্থাপন করার প্রয়োজন হয় না। 

কিন্তু যদি মাদূর্গার মূর্তি এক ফুটের বেশি হয় সেক্ষত্রে ঘট স্থাপন করে পূজা করা হয়। যেভাবে আমরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী ঘট পরিবর্তন করি সেই একইভাবে প্রতি মঙ্গলবার অথবা প্রতি অষ্টমী তিথিতে ঘট পরিবর্তন করতে হয়।

Table of Contents

Daily Durga Puja at home

আমার ঘরে গৃহ দেবতার আসনে অন্যান্য দেবদেবীদের সাথে মা দুর্গারও ছোট প্রতিষ্ঠিত মূর্তি আছে। বাড়িতে নিত্যপূজার অঙ্গরূপে অন্যান্য ঠাকুরদের সঙ্গেই খুব সহজ সরল পদ্ধতিতে মা দুর্গারও পূজা করা হয়ে থাকে। 

আমি এই নিবন্ধে উল্লেখ করবো কিভাবে খুব সহজ সরল পদ্ধতিতে মাদুর্গার নিত্য পূজা (Daily Durga Puja at home) করা যায়। এই পূজা মূর্তি অথবা ছবিতে করা যেতে পারে।

Daily Durga Puja at home: ঘরোয়া নিত্য দুর্গাপূজার উপকরণ

  • লাল জবার মালা, লাল জবা, অপরাজিতা ফুল,  লাল গোলাপ ফুল, অন্যান্য ফুল, সম্ভব হলে লাল পদ্ম।
  • বেলপাতা, গোলাপ জল, আতপ চাল, গঙ্গা জল অথবা পরিষ্কার টেপের জল।
  • ঘরে সব সময় লাল চন্দন রাখা দরকার, সিঁদুর, লাল বাতাসা (মা দূর্গার খুব প্রিয়), একটা মাটির প্রদীপ, ঘি। 

Daily Durga Puja at home

ঘরোয়া নিত্য
দুর্গাপূজার পক্রিয়া

Daily Durga Puja at home: নিত্য গৃহ পূজা শুরু

প্রতিদিনের নিত্য পূজায় দ্বারদেবতা পূজা, সূর্যাঘ্য, পঞ্চদেবতার পূজা করতে পারলে খুব ভালো। আর যদি সময়ের অভাবে এতো কিছু করা সম্ভব না হয় তাহলে শুধু আচমন, পুষ্পশুদ্ধি করেই পূজা শুরু করা যাবে।

Daily Durga Puja at home: স্নানভিষেক

গৃহ দেবতাকে (প্রতিষ্ঠিত গোপাল/ কৃষ্ণ/ বিষ্ণু দেবতা থাকে) আগে স্নানাভিষেক করে তারপর মা দূর্গাকে স্নানাভিষেক করতে হবে। নিত্য পূজায় পঞ্চামৃত দিয়ে স্নানাভিষেক করার প্রয়োজন হয়না। বিশেষ পুজোর দিনে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নানাভিষেক করা উচিৎ। 

পঞ্চামৃত স্নানাভিষেক সাধারণতঃ প্রতিষ্ঠিত ধাতব মূর্তির জন্য প্রযোজ্য।পঞ্চামৃত দিয়ে স্নানাভিষেক করার সময় “ওঁ দূর্গায় নমোঃ” মন্ত্র উচ্চারণ করে করতে হবে।

যদি মাটির মূর্তির থাকে সেক্ষত্রে জলশঙ্খ দিয়ে স্নানাভিষেক করতে হবে। 

জলশঙ্খ স্নানাভিষেকের পদ্ধতি: প্রথমে জলশঙ্খের মধ্যে সামান্য শুদ্ধ জল অথবা গঙ্গা জল অথবা পরিষ্কার টেপে জল নিয়ে তার মধ্যে লাল চন্দন ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপর লাল চন্দন সহযোগে একটি লাল ফুল অথবা যেকোনো ফুল শঙ্খের উপর রেখে মাদূর্গার  সামনে ঘড়ির কাটার তিনবার ঘুরিয়ে একটি বাটিতে ঢেলে দিতে হবে।

এই জল পরে চরণামৃত হিসেবে নিয়ে বাকি জল একটি ফুল গাছের নিচে ঢেলে দিতে হবে নাহলে বেসিনের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে।

ছবির স্নানাভিষেক পদ্ধতি: একটি পরিষ্কার কাপড়ে সামান্য গঙ্গাজল, কিছুটা অগরু, কিছুটা গোলাপ জল নিয়ে কাপড়টি দিয়ে মাদূর্গার ছবিটি/পটটি মুছে নিতে হবে।

Daily Durga Puja at home: শৃঙ্গার

স্নানাভিষেক পর্ব শেষ করে মা দুর্গা, মা লক্ষ্মী, মা সরস্বতী এবং সিদ্ধিদাতা গণেশের কপালে এবং চরণে সিঁদুরের ফোঁটা, লাল চন্দনের তিলক দিতে হবে। যদি আপনার প্রতিষ্ঠিত মাদূর্গার ছবিতে মা সপরিবার না থাকেন সেক্ষত্রে শুধু মাদূর্গার কপালে এবং চরণে সিঁদুরের ফোঁটা দিতে হবে। 

যেদিন মা দূর্গা প্রতিষ্ঠিত করবেন সেদিন মাকে অবশ্যই একটি শাখাপলা নোয়া নিবেদন করবেন। মা দুর্গার নিত্য পুজোয় মাকে নতুন করে প্রতিদিন আলতা, সিঁদুর, শাখাপলা নোয়া নিবেদন করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে মার বিশেষ পুজোয় একটি নতুন শাখাপলা নোয়া, আলতা, সিঁদুর, অবশ্যই দিতে হবে।

Daily Durga Puja at home: দীপ প্রজ্জ্বলন

মাদূর্গার মাটির ঘিয়ের প্রদীপ খুব প্রিয়। একটি ঘিয়ের প্রদীপের পাশে সম্ভব হলে একটি তিলের তেলের প্রদীপ আর ধূপদানি জ্বালিয়ে নিতে হবে।

দীপ প্রজ্জ্বলন

Daily Durga Puja at home: ভোগ নিবেদন

নিত্য ঘরোয়া মাদূর্গার পূজায় প্রসাদের সেরকম আড়ম্বরের প্রয়োজন নেই। ঘরে যা আছে তা দিয়ে মাকে নিত্য প্রসাদ দেওয়া যাবে। তবে লাল বাতাসা মাদূর্গার খুব প্রিয়, তাই ভোগে মাকে লাল বাতাসা  দিন। লাল চন্দন সহযোগে একটি লাল ফুল মায়ের ভোগের উপর দিয়ে দিন।

Daily Durga Puja at home: নারায়ণাদির অর্চনা

প্রতিটি  মন্ত্র উচ্চারণ করে হাতে কিছু ফুল নিয়ে গৃহদেবতার চরণে নিবেদন করতে হবে।

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ নারায়ণায় নমঃ (গৃহদেবতার চরণে নিবেদন করতে হবে)

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ শ্রীগুরুবে নমঃ (গৃহদেবতার চরণে নিবেদন করতে হবে)

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ গণেশায় নমঃ (গৃহদেবতার চরণে নিবেদন করতে হবে)

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ দুর্গায়ৈ নমঃ (মাদূর্গার ছবিতে/মূর্তিতে নিবেদন করতে হবে)

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ শিবায় নমঃ (মহাদেবের চরণে অথবা শিব লিঙ্গে নিবেদন করতে হবে)

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ লক্ষ্মীদেবই নমঃ (মাদূর্গার ছবিতে/মূর্তিতে নিবেদন করতে হবে)

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ স্বরস্বত্যৈ নমঃ (মাদূর্গার ছবিতে/মূর্তিতে নিবেদন করতে হবে)

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ কার্তিকেয় নমঃ (মাদূর্গার ছবিতে/মূর্তিতে নিবেদন করতে হবে)

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ সর্ব দেবদেবীভ্যনম নমঃ (মাদূর্গার ছবিতে/মূর্তিতে নিবেদন করতে হবে)

Daily Durga Puja at home: গুরু প্রণাম

মন্ত্র উচ্চারণ করে হাতে কিছু ফল নিয়ে হাতজোড় করে নিম্নলিখিত মন্ত্রে গৃহদেবতার চরণে নিবেদন করতে হবে।

অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তংযেন চরাচরম্।

তৎপদাং  দর্শিতাং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।

Daily Durga Puja at home: গণেশ পূজা

হাতে লাল চন্দন সহযোগে কিছু ফুল, বেলপাতা নিয়ে হাতজোড় করে ভগবান গনেশের প্রণাম মন্ত্র:- “দেবেন্দ্র মৌলি-মান্দার-মকরন্দ-কণারুণাঃ। বিঘ্নং হরন্ত হেরম্ব-চরণাম্ব জ-রেণবঃ।।” উচ্চারণ করে মাদূর্গার চরণে নিবেদন করতে হবে।

Daily Durga Puja at home: পুষ্প নিবেদন

লালচন্দন সহযোগে ফুল, বেলপাতা এবং দুর্বা নিয়ে “এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ দূর্গায় নমঃ” মন্ত্র বলে মাদুর্গার চরণে নিবেদন করতে হবে। তারপর হাতজোড় করে “ওঁ দূর্গায়ৈ নমোঃ” বলে প্রণাম করতে হবে। লালচন্দন সহযোগে ফুল বেলপাতা এবং দুর্বা নিয়ে “ওঁ হ্রিং দূর্গে দুর্গে রক্ষণী স্বাহা” মন্ত্র বলে মাদুর্গার চরণে নিবেদন করতে হবে। হাতজোড় করে “ওঁ হ্রিং দূর্গায়ৈ নমোঃ” বলে প্রণাম করতে হবে।

Daily Durga Puja at home: প্রণাম মন্ত্র

হাতজোড় করে প্রণাম মন্ত্র বলে মাদূর্গাকে প্রণাম করতে হবে।

প্রণাম মন্ত্র:

সর্ব্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থ সাধিকে।

শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তুতে।।

Daily Durga Puja at home: অষ্টোত্তর শতনাম

প্রণাম মন্ত্র পাঠ করে মাদূর্গার অষ্টোত্তর শতনাম পাঠ করে নিতে হবে। অষ্টোত্তর শতনাম পাঠে মাদূর্গা সন্তুষ্ট হোন অনেক। তাই নিত্য মাদুর্গার পূজা (Daily Durga Puja at home) সমাপ্ত করার আগে একবার এই অষ্টোত্তর শতনাম পাঠ অত্যন্ত মঙ্গলময়।

|| অষ্টোত্তর শতনাম ||

সর্ব্বশ্রেষ্ঠ দুর্গানাম জানিবে অন্তরে। ১ 

দুঃখহরা নাম মোর হয় তার পরে ॥২ 

আর নাম ধরি আমি কৃতান্তদমনী। ৩ 

অনেকে আমারে ডাকে নামে কাত্যায়নী ॥৪ 

ভবেশ-গৃহিণী হয় মোর এক নাম।৫ 

জগতজননী নাম খ্যাত সর্ব্বধাম॥৬ 

আর এর নাম মম হয় মহামায়া। ৭ 

আমারে জানিবে দোঁহে নামে কালজায়া ॥৮ 

ত্রিদিব-জননী নামে অনেকেই ডাকে। ৯ 

ভক্তগণ ডাকে বলি জয় মা কালীকে৷১০ 

করালিনী এক নাম জানিবে আমার। ১১ 

কপালমালিকা নাম খ্যাত ত্রিসংসার ।।১২ 

কালরাত্রি নাম মোর আগম-ভিতরে। ১৩ 

কৃপাময়ী নাম মোর সর্ব্বদুঃখ হরে ॥১৪

উমা নামে হিমালয়ে আমি বিরাজিতা। ১৫ 

মহোদরী নামে হই সর্ব্বত্র পূজিতা ॥১৬ 

অন্নপূর্ণা নামে করি অন্ন বিতরণ। ১৭ 

মাতঙ্গী নামেতে সবে করয়ে অর্চ্চন ॥১৮ 

সত্যসনাতনী নাম বিদিত ভুবনে। ১৯ 

ব্রহ্মাণ্ড-জননী নামে পূজে বহু জনে ॥ ২০ 

সর্ব্বত্র বিখ্যাত হই নামেতে শিবানী। ২১ 

আর নাম হয় মম জগত-তারিণী ॥২২ 

ইন্দ্রাণী নামেতে পূজে বহু বহু জন। ২৩ 

সর্ব্বাণী নামেতে আমি খ্যাত ত্রিভুবন ॥২৪ 

গণেশ-জননী নাম গণপতিপুরে। ২৫ 

রাজরাজেশ্বরী নাম খ্যাত চরাচরে ॥২৬ 

বগলা নামেতে পূজে বহু ভক্তগণ। ২৭ 

কমলা নামেতে করি মঙ্গল-সাধন ॥২৮ 

ভুবন ঈশ্বরী নাম সর্ব্বত্র প্রচার। ২৯ 

শুভঙ্করী নামে হয় শুভের সঞ্চার ॥৩০

ছিন্নমস্তা নামে আমি দানবে সংহারি। ৩১ 

মহিষমদ্দিনী নাম রণমাঝে ধরি ॥৩২ 

ষোড়শী নামেতে আমি সদা বিরাজিতা। ৩৩ 

আর এক নাম মম শ্রীঅপরাজিতা ॥৩৪ 

দৈত্যযুদ্ধমাঝে নাম ধরি উগ্রচণ্ডা। ৩৫ 

দুষ্টের দমনকালে নাম মোর চণ্ডা ॥৩৬ 

বিরিঞ্চিনন্দিনী নামে পাপ নাশ করি। ৩৭ 

শিব-সীমন্তিনী নামে শিবসহচরী ॥৩৮ 

মহেশঘরণী মোরে বলে ভক্তগণ। ৩৯ 

চন্দ্রচূড়া নামে করি চন্দ্রেরে ধারণ॥৪০ 

হররাণী নাম মোর হরের আদরে। ৪১ 

কামাখ্যা আমার নাম কোচবধূপুরে ॥৪২ 

এক নাম হয় মোর মৃগেশবাহিনী।৪৩ 

সর্ব্বত্র পূজিতা হই শ্যামা নামে আমি ॥৪৪ 

এলোকেশী নাম মম জগতে প্রচার।৪৫ 

শবাসনা নামে পূজা পাই সবাকার ॥৪৬

দিগম্বরী নাম করি আনন্দে ধারণ।৪৭ 

পতিতপাবনী নামে পতিতে তারণ॥৪৮ 

দক্ষরাজ ঘরে থাকি দাক্ষায়ণী নামে। ৪৯ 

শমনত্রাসিনী নামে শমন ভবনে ॥৫০ 

অরিষ্টনাশিনী নামে অরিষ্টরে নাশি। ৫১

 সুখদাত্রী নামে সদা সুখনীরে ভাসি ॥৫২

 দয়াময়ী নামে করি দয়া বিতরণ। ৫৩ 

নরকবারিণী নামে নরক-বারণ ॥৫৪ 

পৰ্ব্বত-তনয়া বলি আখ্যান পার্ব্বতী।৫৫ 

শাকম্ভরী নাম মম খ্যাত বসুমতী ॥৫৬ 

গুণের আধার বলি নাম গুণান্তিতা। ৫৭ 

জগতের মাতা তাই আখ্যান অম্বিকা ॥৫৮ 

বিমলা নামেতে করি চিত্তমল দূর ॥৫৯ 

অভয়া নামেতে রক্ষা করি সুরপুর ॥৬০ 

হরের ঘরণী বলি নাম ভবরাণী। ৬১ 

শঙ্কর-সুন্দরী নামে ভজি শূলপাণি ॥৬২

দানবদলনী নাম দানবে বধিয়া। ৬৩ 

মন্মথমথিনী নাম মদনে শাসিয়া ॥৬৪ 

অশিব-খণ্ডিকা নামে অশুভ বিনাশি। ৬৫ 

দানবসূদনী নামে দৈত্যগণে শাসি॥৬৬

মেনকা-দুলালী নাম রাখিলা মেনকা। ৬৭ 

বিজয়া নামেতে আমি অশিব-খণ্ডিকা ॥৬৮ 

গোপেশকুমারী নাম গোকুল নগরে। ৬৯ 

গোবিন্দ-ভগিনী নামে ছলিনু কংসেরে ॥৭০ 

যোগেশ-যোগিনী নাম যোগীর গোচর। ৭১ 

মৃগাঙ্ক-বদনী নাম শশাঙ্ক-নগর ॥৭২ 

গোমাতা নামেতে আমি রক্ষি গো গোধন। ৭৩ 

গান্ধারী নামেতে করি আর্তেরে পালন ॥৭৪ 

দক্ষযজ্ঞ ধ্বংসি নাম যজ্ঞবিনাশিনী।৭৫ 

হিমালয়ে জন্মি তাই গিরিশ-নন্দিনী ।।৭৬ 

নৃমুণ্ডমালিনী নাম নৃমুণ্ড ধরিয়া।৭৭ 

কপালিনী নাম ধরি আনন্দে মজিয়া ॥৭৮

শিবের প্রেয়সী বলি নাম শিবদারা।৭৯

কপালমালিকা নামে কালভয়হরা ॥৮০

কালরাত্রি নামে করি কালেরে দমন। ৮১

ত্রিদিব-জননী নামে রক্ষি সুরগণ ॥৮২

ভক্তিবিধায়িনী নামে ভক্তি দান করি।৮৩

সর্ব্বার্থসাধিনী নামে অনর্থ নিবারি ॥৮৪

লীলাবতী নামে করি লীলায় বিহার। ৮৫

চন্দ্রমুখী নাম খ্যাত বিশ্বের মাঝার ॥৮৬

অনুপমা নাম ধরি তন্ত্রের ভিতরে। ৮৭

সর্ব্বযোগেশ্বরী নাম যোগীর গোচরে ॥৮৮

কলুষনাশিনী নাম রাখে দেবঋষি। ৮৯

সখীগণপাশে আমি হই শ্যামা-শশী ॥৯০

বিকারবিহীনা মোরে বলে সিদ্ধগণ। ৯১

জলধি-নন্দিনী আমি জলধি-সদন ॥৯২

সত্যলোকে হই আমি সত্যস্বরূপিণী। ৯৩

আমিই কালের পাশে কাল-সীমন্তিনী ॥৯৪

বাঞ্ছা পূর্ণ করি বলি বাঞ্ছাদাত্রী নাম। ৯৫ 

গুণময়ী নাম মোর খ্যাত সৰ্ব্বধাম॥৯৬ 

অমলা নামেতে আমি খ্যাত চরাচরে। ৯৭ 

অজয়া নামেতে খ্যাত পাতাল নগরে ॥৯৮ 

অষ্টকলা নামে ডাকে ভুজঙ্গমগণ। ৯৯ 

তক্ষকেশী নাম মোর তক্ষক-সদন।১০০ 

কর্কোটক নাগ মোরে কর্কটেশী কয়। ১০১ 

ধনঞ্জয়েশ্বরী নাম কহে ধনঞ্জয়॥১০২ 

মহাপদ্ম নাগ ডাকে পদ্মেশ্বরী বলি। ১০৩ 

কুলীর-ঈশ্বরী বলি ডাকে মোরে কুলী ॥১০৪ 

শঙ্খেশ্বরী নাম রাখে শঙ্খ ভুজঙ্গম।১০৫ 

ডাকিনীদমনী কহে ডাকিনীর গণ৷১০৬ 

হাকিনীগণেরা কহে হাকিনী-ঈশ্বরী। ১০৭ 

ডামর তন্ত্রেতে নাম জানিবে ডামরী ॥১০৮ 

অষ্টোত্তর শতনাম করিনু কীৰ্ত্তন। 

জয়া বিজয়া এবে করিলে তো শ্রবণ।

|| ফলশ্রুতি ||

অষ্টোত্তর-শতনাম করিলে শ্রবণ। 

ভক্তিভরে কিম্বা যদি করে অধ্যয়ন ৷৷ 

শোক তাপ কভু নাহি থাকে তার ঘরে। 

রাজভয় ব্যাধিভয় চলি যায় দূরে ৷৷ 

দীর্ঘজীবী হয় ইহা করিলে শ্রবণ। 

অন্তকালে গতি তার অমর-ভবন ৷৷ 

শমন তাহার পাশে আসিতে না পারে।

ডঙ্কা মারি যায় চলি ভবপারাপারে ৷৷

তাই বলি ভক্তি করি শুন সর্ব্বজন।

দুর্গা দুর্গা বলি কর সফল জীবন৷৷

সমাপ্ত

Daily Durga Puja at home: আরোতি পর্ব

মাদূর্গার অষ্টোত্তর শতনাম পাঠ করে, আরতি  পর্ব শুরু করতে হবে।

প্রতিদিন পূজার শেষে, মাদূর্গার কাছে প্রণাম করে নিজের মনের বাসনা জানাতে হবে এবং মাকে পূজা গ্রহণ করার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। পুজোর ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

aroti
Source: Belur Math

Daily Durga Puja at home: নিত্য ঘরোয়া দূর্গাপূজা সমাপ্ত